এস বাবু রায়, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আজ শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধা ৬টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সে. মি নিচ দিয়ে প্রভাহিত হলেও সকালে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হয়েছে। অন্যদিকে ধরলা নদীর পানি সকাল থেকে বেড়ে বিপদসীমার ৩৪ সে. মি উপর দিয়ে প্রাভাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায়, শুক্রবার সারাদিন তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধরলা নদীর পানি সকাল থেকে বাড়তে থাকে সন্ধা ৬টায় শিমুলবাড়ী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৪ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায়, শুক্রবার সারাদিন তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধরলা নদীর পানি সকাল থেকে বাড়তে থাকে সন্ধা ৬টায় শিমুলবাড়ী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৪ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধরলা ও তিস্তা নদীর বাম তীরে পানিবন্দী পরিবারগুলো পড়েছে ভোগান্তিতে। ধরলা চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার রাস্তা-ঘাট ডুবে গিয়ে চরাঞ্চলের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। চৌকি/খাটের ওপর মাচাং বানিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পানিবন্দী পরিবারের মানুষগুলো। কেউ কেউ ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু বাঁধ বা পার্শ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। চরম কষ্টে পড়েছেন বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও শিশুরা। গবাদি পশু-পাখি নিয়েও চরম বিপাকে পানিবন্দী পরিবারগুলো। জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন দপ্তর জানিয়েছে, ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় সদর উপজেলার মোঘলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নে প্রায় ২হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। পরিবারগুলো সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বন্যাসহ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে দ্রুত খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।