বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
সানি,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহারের অপসারণ দাবী করলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন লিপু।পাথর বালু ব্যবসায়ী সমিতি’র নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনের পর শ্রমিকদের সাথে নিয়ে প্রধানসড়কে বিক্ষোভও করেছেন।
পাটগ্রাম পাথর ব্যবসায়ী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন লিপু এতে নেতৃত্ব দেন।সোমবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান লিপু অভিযোগের কপি পাঠ করেন। এ সময় তিনি ইউএনও’র প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।লালমনিরহাট থেকে আগত ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন পাথর ব্যবসায়ী সমিতি’র সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বাচ্চু,পাটগ্রাম পৌর যুবলীগ সভাপতি বিজয় কুমার শূর,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম জাহাঙ্গীর রুবেল,উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নাজমুল হুদা রাসেল প্রমুখ।সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহার যোগদানের পর থেকেই নানা রকম অনিয়ম করে চলছেন।এমন ইউএনও না’কি স্বাধীনতার পর কখনও দেখা মেলেনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে অপসারণ করা হোক।
গত ৮ জানুয়ারি পাটগ্রাম শহীদ আফজাল মিলনায়তন হল রুমে বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের আলোকে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে পাথর সিলিকা বালু,কোয়ারীর এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে মন্ত্রীপরিষদ অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম,জেলা প্রশাসক আবু জাফর,এসপি আবিদা সুলতানাসহ অনেক কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত মতবিনিময় সভায় স্থানীয় পাথর সিলিকা বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের অবহিত না করার প্রতিবাদে আজকের এ সাংবাদিক সম্মেলন বলে জানানো হয়।এছাড়াও অভিযোগ করা হয় কারও মোবাইল কল না ধরা, ঠিকাদারী বিল দিতে গড়িমসি ও হয়রানী করা হয়। গত ২০ ডিসেম্বর ধরলা নদী থেকে দুই ট্রলি বালু পরিবহনের সময় পুলিশ আটক করে।পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ট্রলি চালকের ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও কামরুন নাহার।এ কারণে গত ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে পাটগ্রামে ঠিকাদার এ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়। সেদিন ইউএনওকে অপসারণের ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন ঠিকাদাররা। এদিকে, সরকারি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কাজ নদী’র বালু দিয়ে করা হচ্ছে।ঠিকাদাররা সরকারের উন্নয়ন কাজে বালু ব্যবহার করলে দোষ,অথচ ওনার কাজে নদী’র বালু টেস্টিং ছাড়াই ব্যবহার করা কোন আইনে পরে তা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে চান ঠিকাদার ও পাথর বালু ব্যবসায়ীরা।
এ প্রসঙ্গে পাটগ্রাম ইউএনও কামরুন নাহার বলেন,তিনি গত চার মাস আগে যোগদান করেছেন।কোন অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেন না।অনেকে সুবিধা না পেয়ে তাঁর নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।তিনি বলেন,পাটগ্রামে পাথর কোয়ারি লাইসেন্স আছে কি’না তা তাঁর জানা নেই।পাথর কোয়ারি মতবিনিময় সভাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে হয়েছে।কাউকে আমন্ত্রণ বা নিমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে উপর মহল কোন নির্দেশনা দেননি।
Leave a Reply