1. mrveadmin@dailylalbarta.com : dailylalbarta :
পাটগ্রাম সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা - dailylalbarta
২৫শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১১ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ| বসন্তকাল| শনিবার| রাত ৯:৩১|

পাটগ্রাম সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৫, ২০২২,
  • 45 Time View

বার্তা ডেস্কঃ

লালামনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের মেচেরঘাট সীমান্তে বসেছে দুই বাংলার মিলন মেলা । আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই বাংলার সাধারণ মানুষেরা ভারতীয় কাটা তারের বেড়ার দুপাশে শুরু হয় তাদের স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎসহ একান্ত আলাপচারিতা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় সীমান্তে কালী পূজা উপলক্ষে দুই বাংলার লোকজনের দেখার করার সুযোগ দিবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সকাল সাড়ে ৯ টার থেকে দীপালী রানী তার খালাতো বোনের ছেলে জয়ধর বাবুর সাথে দেখা হয়। দেখা হলেও ভাগিনাকে ধরিয়ে ধরে আদর করেতে পারেনি দীপালী রানী। কারণ ধরিয়ে ধরার মাঝে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে দুই বাংলার সীমান্তে কাটাতারের বেড়া।

ভাতিজার সাথে দেখা করে ফেরার পথে দীপালী রানী জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় তার খালা-খালু ভারতে চলে যায়। সেই সময় ছোট খালা দুইবোনের সাথে শেষ দেখা হয়। কয়ক বছর আগেও এক বার খালাতো বোনের সাথে দেখা হয়ে ছিলো দীপালী রানী। কিন্তু গত বছর তার সেই খালাতো বোন মারা গেলেও যেতে পারে নাই । আজ তার ভাগিনাদের কাছে পেলেও ধরিয়ে ধরতে পারলে না।

দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের মেচেরঘাট সীমান্তে কালী পুজা উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে দুই বাংলার এ মিলন মেলা বসে।

শুধু দীপালী রানী নয়, তার মত শত শত মানুষ সীমান্তে ছুটে এসেছে রক্তের টানে। কাছের লোকজনদের দেখতে পেয়ে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তবে অনেকই প্রাণের টানে ছুটে এলেও আতœীয়দের দেখা না পেয়ে মন খারাপ করেও ফিরে গেছেন। মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে শুরু হওয়া এ মিলন মেলা চলে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।

মিলন মেলায় আসা সফিকুল ইসলাম, রবিন্দ্র নাথ জানান, বছরে একটা দিন আমরা কালী পূজা উপলক্ষে আমাদের আপন জনের দেখা করার সুযোগ পায়। সে যেন অব্যাহত থাকে। আইনের জটিলতা দিয়ে যেন এ মিলন মেলা বন্ধ না হয়। তারা আরো বলেন বছরে এমন একটি মিলনমেলা আমাদের মানবিক পৃথিবী তৈরীতে ভুমিকা রাখবে।

পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউল হক মিরন বলেন, এ সীমান্তে প্রতিবছর কালী পূজা উপলক্ষে দুই বাংলার মিলন মেলা বসে। এতে অনেকেই তাদের পুরাতন আতানীয় স্বজনের দেখা করতে পেয়ে বেশি খুশি মনে বাড়ি ফিরেন। এটা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 banglahost
Design & Developed by : BD IT HOST