বার্তা ডেস্কঃ
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় পুরাতন মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদ পূননির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মসজিদ কমিটির সভাপতির মাথায় লোহার লাঙলের আঘাতে গুরুত্বর জখম হয়েছেন মসজিদের সভাপতি অলিয়ার রহমান (৭০)।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারামারা গ্রামে। এঘটনায় মসজিদ বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয়রা জানায়, উফারমারা বায়তুল আমান জামে মসজিদটি ২০০৫ সালে জামাতবাসীর সহযোগিতায় টিনসেট ঘর নির্মান করা হয়। বর্তমানে মসজিদটিতে জায়গা সংকুলানের কারণে ঈদের নামাজ এবং জানাজার নামাজ পড়াতে সমস্যা হয়। এতে স্থানীয় জামায়াতবাসী এ বছরের ৩ মে ঈদ-উল ফিতরের নামাজের সময় ঈদ গাঁ মাঠে পুরাতন মসজিদটি সরিয়ে ছাঁদ ঢালাই নতুন মসজিদ ভবন নির্মাণের আলোচনা করে ও সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক মসজিদ কমিটি নির্মাণ কমিটি গঠন পূর্বক একাধিকবার আলোচনা করে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) এশার নামাজ শেষে মসজিদ ও নির্মাণ কমিটির সভা হয়। সভায় আগামী শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) মসজিদটির নির্মাণ কাজের শুরুর সিদ্ধান্তে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে প্রাথমিকভাবে বেজ ঢালাইয়ের খাল খননসহ অন্যান্য কাজ শুরু করেন নির্মাণ শ্রমিকরা। এ সময় পুরাতন মসজিদের জমি দাতা হামিদুল ইসলাম, ফরিদুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম কাজে বাঁধা দেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি অলিয়ার রহমান তাঁর ছেলে আবু আলম ও শাহালমসহ অন্যান্য মুসল্লিরা বাঁধার কারণ জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ সময় সাবেক সেনা সদস্য হামিদুল ইসলাম (৫৫) লোহার তৈরি লাঙল দিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি অলিয়ার রহমানের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে মগজ বের হয়ে গুরুতর আহত হন অলিয়ার। ঘটনার সময় অলিয়ারের ছেলে আবু আলম ও শাহালম বাবাকে বাচাতে এগিয়ে আসলে তাঁদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে হামিদুল ও তাঁর ভাই ফরিদুল ইসলাম এবং জাহিদুল ইসলাম।
গুরুত্বর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা অলিয়ার ও তাঁর ছেলে আবু আলমকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
উফারমারা বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন- ‘মসজিদ পূর্ণনির্মাণ ও সরিয়ে নেওয়ার আলোচনায় এবং সিদ্ধান্তে সকল জামায়াতবাসীর পাশাপাশি হামিদুল এবং তার ভাইয়েরা সম্মত ছিল। তাঁরা তিনভাই টাকাও (অনুদান) দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে পুরাতন মসজিদটি সরানোয় বাঁধা দিয়ে সভাপতিকে মেরে মৃত্যুর মুখে পাঠায় হামিদুল। এটি অত্যন্ত অমানবিক কাজ করেছে তাঁরা।’
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, ‘মসজিদ নির্মাণের সংঘর্ষের ঘটনায় অলিয়ার রহমানের ছোট ছেলে শাহ আলম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দিয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে হামিদুল ইসলামের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।