বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ইউএনও পদ থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়ের অধীনে জামালপুর জেলা ভূমি অফিস ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।প্রত্যাহার করার পরও কুশপুত্তলিকা দাহ করে সরকারের প্রতি এক হাত নিয়েছেন পাটগ্রামের কতিপয় নেতা ও ঠিকাদারবৃন্দ।
যোগদানের ৬ মাসের মাথায় ইউএনও’র প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতারা। দফায় দফায় মিছিল মিটিং মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে ইউএনও’র বদলি দাবী করে আসছেন ঠিকাদারবৃন্দ।
২২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি’র আদেশক্রমে এক প্রজ্ঞাপন জারী করেন সরকার।এরপরও বিদায়ী ইউএনও’র কুশপুত্তলিকা দাহ করা হলো কেন?
এ নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে একাধিক কর্মকর্তা জানান।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাটগ্রাম পৌরসভার নির্বাচনের পর ছুটিতে যান ইউএনও কামরুন নাহার।ফিরে এসে দায়িত্ব বুঝে দিবেন।এরই মধ্যে তিনি বদলিকৃত স্থলে যাবেন এটাই নিয়ম।বিদায় বেলায় একটি কুরুচিপূর্ণ কুশপুত্তলিকা দাহ করার বিষয়টা প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে জেলার একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর এ প্রতিনিধিকে বলেন,মোবাইলে বলা কথা কোন কিছু কোড করা যাবে না।জানতে হলে আমার অফিসে আসেন।পাটগ্রাম ইউএনও কামরুন নাহারের কুশপুত্তলিকা দাহ করার বিষয়টা কী হিসেবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,যে কেউ মূর্তি বানিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করতে পারেন সেটা কোন বিষয় নয়।
কারও চেহারা যদি বিকৃত করা হয়,কুরুচিপূর্ণ,নোংরামী কিছু হলে,
কারও মানহানী ঘটলে,সেজন্য আইন আছে।এমন ঘটনায় ফৌজদারি আইনে মামলা হতে পারে।সেটা যে কেউ করতে পারে বলে জানা যায়।
গত রোববার বিকেলে পাটগ্রাম বাজার চৌরাস্তা মোড়ে সেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা সভাপতি নাজমুল হুদা রাসেলের নেতৃত্বে বেশ ক’জন নেতা-কর্মী ও ঠিকাদারবৃন্দ ইউএনও’ কামরুন নাহার নাম সম্বলিত ব্যানারে এমন একটি কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।সেখানে বক্তব্য রাখেন সেচ্ছাসেবক লীগের আরেক নেতা সাফিউল ইসলাম সবুজ,ছাত্রলীগ নেতা মিল্লাত হোসেন প্রমুখ। এ ঘটনার পর জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাটগ্রামের বিদায়ী ইউএনও’ কামরুন নাহারের বিকৃত চেহারার এমন একটি দেবী মূর্তি’র অবয়ব কুশপুত্তলিকার ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।এ ব্যাপারে নেতা নাজমুল হুদা রাসেল কুশপুত্তলিকা দাহ করার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বীকার করে জানান,পাটগ্রামের অধিকাংশ দলিয় নেতা কর্মী সোহাগপুরের বালুর ট্রলীতে লাখ টাকা জরিমানার ঘটনায় অসন্তোষ। গতকাল রাতে তিনি মোবাইলে বলেন,পৌর মহিলা টেকনিক্যাল কলেজের সভাপতি হিসেবে তিনি কলেজে আসতে চেয়ে আসেননি বরং তাঁর দেখা করতে গেলে মাঝেমধ্যে উল্টাপাল্টা কথা বলতেন তিনি।এসব কারনে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম ইউএনও কামরুন নাহারের কোন মন্তব্য মিলেনি।
Leave a Reply