বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্কঃ পাটগ্রামের আকাশ থেকে নক্ষত্রের বিদায়: একটি পর্যালোচনা পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মশিউর রহমান মহোদয় অফিসিয়াল ভাবে আজ ৫ আগস্ট বিদায় নিবেন। তিনি গত ১২ জানুয়ারি ২০২০ইং পাটগ্রাম উপজেলায় যোগদান করেন।যোগদানের পর তিনি পাটগ্রাম উপজেলা কে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করেন তিনাি ইউএনও মশিউর রহমান । অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, বাল্যবিবাহ ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে কাজ শুরু করেন তিনি । তাঁর কাজে ঈর্ষানিত হয়ে পাটগ্রাম উপজেলার কিছু দূর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতার সাথে বনিবনা না হওয়ায় শুরু হয় ষড়যন্ত্রের বীজবোনা, অনিয়ম দূর্নীতিকে টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় সাংসদের যোগসাজশে শুরু করেন ইউএনও মশিউর রহমানকে বদলীর পায়তারা। আবারো ঢেকে দেয়া হয় পাটগ্রাম উপজেলার উদিত সুর্যের আলোকে। বিভিন্নভাবে সরকারি কর্মকান্ডে সৃষ্টি করা হয় বাঁধা। অবশেষে দূর্নীতিবাজদের ষড়যন্ত্রের কাছে নিজের সম্মান টুকু ধরে রাখতে বাধ্য হলেন পাটগ্রাম উপজেলা থেকে বিদায় নিতে। দূর্ভাগ্য পাটগ্রাম উপজেলার মানুষের, রাজনৈতিক দূর্নীতিবাজদের কাছেই অবশেষে পরাজিত হতে হলো পাটগ্রাম উপজেলার মানুষকে। কি লজ্জা আমাদের, সামন্য কয়েকজন দূর্নীতিবাজের কাছে আজ পুরো পাটগ্রামবাসি জিম্মি। প্রতিবাদ করার মানুষের খুব অভাব, অন্যায় অবিচার আর দুর্নীতির কাছে জাতি যখন জিম্মি।
ইউএনও মশিউর রহমান মহোদয় প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়াতেন এলাকার সাধারণ মানুষের কল্যাণে। ছুটে বেড়াতেন মানুষের বিপদ আপদে। বিলিয়ে দিতেন নিজের সাধ্যমতো সাহায়্যের হাত। সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন বিভিন্ন এলাকার ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সমাধান। সত্য আর ন্যায়ের পথে নিজেকে সব সময়ে নিয়োজিত রেখেছিলেন তিনি। পাটগ্রাম উপজেলার সকলঅসঙ্গতিকে রুখে দিতে একজন বীর যোদ্ধার মতো সাহসিকতার দৃষ্টান্তই ছিলেন ইউএনও মশিউর রহমান মহোদয়। স্বাধীনতার ৫০বছরে পাটগ্রাম উপজেলায় অনেক নির্বাহী কর্মকর্তা আসলেন আর গেলেন, কিন্তু পাটগ্রাম উপজেলার রাজ্যপট কেউ বদলাতে পারেননি কখনো কেউ সামান্য চেষ্টা টুকু করেননি। একজন সৎ যোগ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাই পারেন সকল বাধাঁ দুর করে সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়াকে পূর্ণ করতে।
তিনি পাটগ্রাম বাজার ফুটপাত মুক্ত করার জন্য যুদ্ধ ঘোষনা করেন এবং পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র, অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও পাটগ্রাম উপজেলার সাধারণ জনগন কে সাথে নিয়ে ফুটপাত মুক্ত করেন। তিনি পাটগ্রামকে টাউট এবং বাটপারমুক্তও করেছেন এবং ধান্দাবাজদের মুখোস উন্মোচন করাতে সাধারণ মানুষের ভেতরে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাঁর সততা, দায়িত্বশীলতা, ক্ষিপ্রগতি এবং সাধারণ মানুষের জন্য সেবার যে মানসিকতা, তা পাটগ্রামের ভদ্র, নিরীহ এবং সহজ-সরল মানুষগুলো আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন। তাঁর অবস্থান আরও বেশি সময়ের জন্য হলে জনগণ আরও বেশি সুফল পেত।
আপনার সেবা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক, এ আশায় আপনাকে আমরা যেতে দিচ্ছি কিন্তু রয়ে গেলেন মনের অতল গহীনে।
আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
Leave a Reply