গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলা শহরে ইমাম-ওলামা পরিষদের মিছিল থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দেড় শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর এজাহারনামীয় চার আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি রোববার বিকেলে নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
তিনি জানান, এ ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ হাসান শাওন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ৮ জন নামীয় ছাড়াও দেড় শতাধিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মাসুদুর রহমান আরও জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল বের হয়। জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামি দলের ব্যানারে শত শত নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। মিছিলটি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে কাচারিবাজার মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। তারা সেখানে সমাবেশ করেন।
সমাবেশস্থলের পাশেই শহীদ মিনার চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সম্মেলন চলছিল। সেখানে উচ্চ আওয়াজে মাইকিং হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মিছিলকারীরা। তাদের কয়েকজন সম্মেলনস্থলে গিয়ে মাইক বন্ধ করতে বলেন। একপর্যায়ে তারা সম্মেলনের মঞ্চে উঠে মাইক, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন ও ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন।
ওসি বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারনামীয় চারজনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
এ নিয়ে মামলার বাদী ওয়াজেদ হাসান শাওন বলেন, ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির শীর্ষ নেতা মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) অবমাননা করেছেন- এমন অভিযোগে বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি গাইবান্ধাতেও শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভে নামে ইসলামপন্থি কয়েকটি সংগঠন। কোনো অভিযোগ ছাড়াই পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে হামলা-ভাঙচুর চালায় শত শত নেতাকর্মী।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় সংগঠনের নেতাকর্মীসহ আলোচনা ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক মামলা করেছি। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’